রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারে মিয়ানমার সরকার

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য জাতিসংঘ ও আসিয়ান সম্মিলিতভাবে রাখাইনে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে পারে, যাতে করে তারা নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য উৎসাহ পায়— এমন মন্তব্য করেছেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা টু ডে’ বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই মত দেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তারা।

ভার্চুয়াল সেমিনারে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো এম শহীদুল হক বলেন, ‘জাতিসংঘ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের উপকারের জন্য। রোহিঙ্গাসহ অন্যদের উপকার করার জন্য নতুনভাবে বৈশ্বিক এই সংস্থাটিকে চিন্তা করতে হবে।’

মানবতার বিষয়টি ভেটো প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা উচিত মন্তব্য করে শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থাকলে এটি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উচিত— মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও বিচারিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ বের করার জন্য জাতিসংঘ ও আসিয়ান একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এর ফলে রাখাইন প্রদেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি নজরদারি মেকানিজম প্রতিষ্টা করা সম্ভব হলে ওই প্রদেশে সংঘাত কমবে।’

কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ইঙ্গিত করে সেপ্পো বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করলে এই সংঘাত থামানোতে কোনও অবদান রাখবে না।’

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান স্টিভেন করলিস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে আত্নবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। শুধু তাই না, রাখাইনে একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব পায়।’

মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা এটিই প্রমাণ করে যে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে তিনি জানান।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক বুলবুল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাকিয়া সুলতানা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION